2.1 রোগীর পথ্য প্রস্তুতি

রোগীর পথ্য প্রস্তুতি


সূচনা:-
                  একজন স্বাভাবিক মানুষের শৈশব থেকে বৃদ্ধ অবস্থা পর্যন্ত জীবনের সকল দশার বৃদ্ধি ও ক্রমবিকাশের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি উপাদানের চাহিদা ও পরিবর্তিত হয়. এই সময়ে সুষম খাদ্য যেকোন পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত চাহিদা পূরণে এবং পুষ্টি জনিত সমস্যা থেকে মানুষকে রক্ষা করে.
                     কিন্তু একজন মানুষ যখন কোন রোগে আক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার স্বাভাবিক খাদ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হয়. এই পরিবর্তনীয় সুষম খাদ্যকে পথ্য বলে বলে. পথ্য রোগাক্রান্ত ব্যক্তির রোগ বিনিময় বিনিময় এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে.
                      শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে অনেক সময় রোগ সারানো সম্ভব হয়না রোগ সারানো সম্ভব হয়না. সে ক্ষেত্রে ওষুধের সঙ্গে ওষুধের সঙ্গে উপযুক্ত পুষ্টিগত পরিচর্যার একান্ত প্রয়োজন. অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ ব্যবহার না করে বা কম করে উপযুক্ত পথ্যের মাধ্যমে রোগমুক্তি ঘটানো যায়.

◙ পথ্য: রোগ নিরাময়ের জন্য বয়স লিঙ্গ এবং শারীরিক অসুস্থতা অনুযায়ী উপযুক্ত পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য রোগীকে সরবরাহ করা হয় তাকে পথ্য বলে |
              যে পথ্যে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে তাকে রোগ নিরাময়কারী পথ্য বলে. এবং খাদ্যের মাধ্যমে রোগ নিরাময় কে খাদ্য চিকিৎসা বা ডায়েট থেরাপি বলে |


পথ্যের প্রয়োজনীয়তা:-
1. রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ক্যালরি সরবরাহ করা.
2. রোগীর দেহে সঠিক পুষ্টিমান বজায় রাখা.
3. দেহের ক্ষয়পূরণ করা.
4. স্থূলকায় ব্যক্তির ওজন কমাতে সাহায্য করা.
5. রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করো.
6. রোগীর দেহে অনাক্রমতা গড়ে তোলা যাতে পুনরায় রোগ আক্রমণ না ঘটে.
7. প্রয়োজনবোধে বিশেষ খাদ্য উপাদানকে নিয়ন্ত্রণ করা.
8. রোগীর অরুচি নিবারণের জন্য প্রয়োজন মত পরিবর্তন ঘটিয়ে তথ্য সরবরাহ করা.

পথ্যের কাজ:-
পথ্যের প্রধান কাজ গুলি হল
1. পথ্য রোগীর রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে.
2. রোগীর দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন সহায়তা করে.
3. দেহকে সুস্থ ও সবল করে আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে.
4. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে.

পথ্যের শ্রেণীবিভাগ:-
পথ্যকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা - 
1. তরল পথ্য      এটা 2 ভাগে বিভক্ত যথা - A) স্বচ্ছতা রেলপথ, B) সম্পূর্ণ তথ্য 
2. নরম পথ্য 
3. হালকা পথ্য

1. তরল পথ্য: তরল পথ্য প্রধানত দুই প্রকার -  A)স্বচ্ছ তরল পথ্য   B)সম্পূর্ণ তরল পথ্য


                 A) স্বচ্ছ তরল পথ্য  : স্বচ্ছ তরল পথ্য সাধারণত পথ্য সাধারণত অপারেশনের আগে ও পরে বমিবমি ভাব বমি ক্ষুদামান্দ্য ইত্যাদি অবস্থায় সরবরাহ করা হয়.স্বচ্ছ তরল পথ্য সাধারণত 1 থেকে 2 দিন দেওয়া হয়. এই ধরনের পথ্য রোগীর দেহে কিছু পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করে এবং জলসাম্য বোঝায় রাখতে সাহায্য করে. এই ধরনের পথ্যের উদাহরণ হল - দুধ ছাড়া চা বা কফি, ফ্যাটবিহীন মাংসের ঝোল, কার্বোনেটেড পানীয়, কমলালেবু বা মৌসম্বির মৌসম্বির রস, গ্লুকোজ জল, গ্লুকোজ মিশ্রিত বার্লি জল, কচি ডাবের জল, ইলেকট্রোলাইটের জল ইত্যাদি.

                  B) সম্পূর্ণ তরল পথ্য : সম্পূর্ণ তরল পথ্য মারাত্মকভাবে অসুস্থ রোগী  অথবা যেসব রোগী চিবিয়ে খেতে বা কঠিন খাদ্য গ্রহণ করতে অক্ষম তাদের সরবরাহ করা হয়. এই ধরনের পথ্যের উদাহরণ হল -  যে কোন খাদ্যের তরল, দুধ, আইসক্রিম, ক্ষীর, সবজি এবং ফলের রস, 1 নং, জিলাটিন, দই, চিনি, মাখন, মার্জারিন, ঘি, তেল, মাংসের ঝোল, চা-কফি, কার্বনেটেড পানীয়, সম্পূর্ণ সিদ্ধ ডাল ইত্যাদি.2-3 ঘণ্টা অন্তর দেওয়া হয়.

2. নরম পথ্য : নরম পথ্য অপারেশনের পর পাক-আন্ত্রিয় সমস্যা এবং মারাত্মক সংক্রমণ এ রোগে সরবরাহ করা হয়. এই পথ্য প্রকৃতির সহজপাচ্য স্বল্প তন্তুসম্মৃদ্ধ ও কম মসলা সমৃদ্ধ. এই ধরনের পথ্যের উদাহরণ হল - সেদ্ধ সবজি, সেদ্ধ ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য, চিজ, আলু ও আপেলের সেদ্ধ, সেদ্ধ কচি সবজি, সেদ্ধ দানা শস্য ইত্যাদি.

3. হালকা পথ্য : এই ধরনের পথ্য অনেকটা নরম পথের মত. এই ধরনের পথ্যের উদাহরণ হলো - হালকা প্রকার নরম খাদ্য, ফুট সালাসালাড, পনির ইত্যাদি.


বার্লি জল
দই
 দুধ
পনির
ডিম সেদ্ধ
এগ-নগ্

Read Next Post

Post a Comment

Previous Post Next Post